প্রথম যখন আমার ফিল্যান্সিং জীবন শুরু করি তখন এস,ই,ও দিয়ে কাজ শুরু করি। তারপর যখন ওডেস্কে প্রথম জবের জন্য হায়ার হলাম তখন আমার জন্য কাজ ছিল জুমলা দিয়ে তৈরী একটা ওয়েব সাইটের গুগল সার্চের উপরে কাজ করা। তখন তো বেশী কিছু জানতাম না লিংঙ্ক তৈরী ছাড়া। অনপেজ-অফপেজ কি তার ও জানতাম না। তবে এই সাইটে কাজ করতে করতে যে অভিজ্ঞাতা হয়েছে তা সারা জীবনে ভুলার নয়।
প্রতিমাসেই ক্লাইন্টকে এত এত ব্যাকলিংঙ্ক দিতাম তারপর ও কেন যেন তার সাইটে তেমন কোন উন্নতি দেখতাম না। তারপর ক্লাইন্ট নিজেই আগ্রহী হয়েই আমাকে অনেক বই দিয়েছিলেন পড়ার জন্য জানার জন্য সেই সময় আমার কাছে সব মিলিয়ে ১১৫ টা ই-বুক ছিল এস,ই,ও এর উপরে। এখন কথা হল কেন এত কথা কেন এত গল্প। কারণ তো অব্যশই আছে। প্রতি বছর ই গুগল কোন না কোন আপডেট নিয়ে আচ্ছে আজ পান্ডা তো আগামি কাল পেঙ্গুন আবার গুগলের তো প্রথাগত নিয়ম তো আছেই। তাহলে মোট নিয়ম হল মোট ০৩, তাহলে কোন নিয়ম টা ফলোআপ করা উচিত ? যদি আপনি একটি ওয়েব সাইটের মালিক হন বা একজন এস,ই,ও এক্সপার্ট হিসাবে দাবি করেন তাহলে আপনি কোন টা ফলো করবেন?
খুব বেশী চিন্তা করার দরকার নেই কারণ আমি সেই চিন্তা করে ফেলেছি। কারণ আমি গত আর্টিকেলে জানিয়েছিলাম যে, কিভাবে সব ধরণের গুগল আপডেটে আপনার ওয়েব সাইট কে সব সময় নিরাপদ রাখবেন। কিংবা আপনি যদি একজন এস,ই,ও ওয়ার্ক হন তাহলে আপনার একটা ওয়েব সাইটের এস,ই,ও কাজ নেবার আগে কি করবেন বা আপনার ওয়েব সাইট ডিজাইনের সময় কি কি বিষয় দেখা উচিত। আমরা আসলে বাংলাদেশীরা বেশী ভাগ সময় অফপেজের কাজ বেশী করে থাকি। তাই আমাদের কে সব সময় অনপেজের এস,ই,ও দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আসুন দেখি কি আছে আর কি নেই।
রিসপনসিভ ওয়েব সাইটঃ- সবার আগে আপনাকে খেয়াল করতে হবে যে আপনি যে ওয়েব সাইট তৈরী করছেন বা যে ওয়েব সাইটের জন্য এস,ই,ও করবেন সেটা কি মোবাইল রিসপনসিভ? যদি সেটা মোবাইল রিসপনসিভ হয়ে থাকে তাহলে কাজ করতে পারেন বা আপনার সাইটকে মোবাইল রিসপনসিভ হিসাবে তৈরী করুন।
ইমেজের AlT ট্যাগঃ- ইমেজ নেই আমার দেখা এমন ওয়েবের সংখ্যা অনেক কম। তবে উচিত হবে যখন ই কোন ওয়েব সাইট তৈরী করা হয় বা কোন ওয়েব সাইটের জন্য এস,ই,ও করা হয় তখন অব্যশই দেখে নেওয়া উচিত যে প্রতিটা ইমেজের জন্য Alt ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। কারণ ইমেজের এই Alt ট্যাগ গুগল ইমেজ সার্চের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব ফেলে।
ওয়েব সাইট আইফ্রেমে তৈরী করাঃ- কিছু কিছু ওয়েব সাইট আছে যারা তাদের সাইটে এমন কোন কালার নেই যে ব্যবহার করেনি। এর ফলে কি হয় ওয়েব সাইটে ভিজিটার কমে যায়। আর এর ফলে ওয়েব বাউন্সি রেটে বেড়ে যেয়ে গুগল সার্চে বা তার আপডেটে ধরা পড়ে। আপনি যদি কোন ওয়েব সাইট তৈরী করেন বা কোন ওয়েব সাইটে এস,ই,ও করেন তাহলে সব কিছুর আগে খেয়াল রাখতে হবে যে সেই ওয়েব সাইট টা আইফ্রেমে তৈরী কিনা। আসলে এই আইফ্রেম টা কি? এটা বলার আগে আইফ্রেমের উদাহরণ দেওয়া ভাল তাহলে বুজতে সুবিধা হবে। উদাহরণঃ- ফেসবুক, এটা সারাদিন ব্যবহার করলেও আপনার চোখের উপরে কোন প্রভাব পড়বে না তার কালারের কারণে। সেহেতু আপনার ওয়েব বা যে ওয়েবে আপনি কাজ করবেন তার কালার যদি ভিজিটাদের চোখের উপরে প্রভাব ফেলে তাহলে তারা বেশী সময় আপনার ওয়েবে থাকবে না এমন কি তারা ভিজিট না ও করতে পারে।
H ট্যাগের ব্যবহারঃ- অন্যদের কি বলব অনেক সময় আমি নিজেই এক ই ওয়েব পেজে অনেক বেশী H ট্যাগের ব্যবহার করে ফেলি। এই ক্ষেত্রে সব সময় খেয়াল রাখার জন্য অনুরোধ করব যে, মাত্র দুই টা H ট্যাগ সর্তকতার সাথে ব্যবহার করার জন্য আর তারা হল H1, H2 কারণ হল এই দুই টা ট্যাগ বেশী বেশী ব্যবহার ফলে ওয়েব সাইটের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হয় তেমন সার্চ ইঞ্জিন তেমনি বুজে উঠতে পারে না আসলে কোনটা কে হাইলাইট করা হয়েছে। তবে এই দুইটা ছাড়া অন্য H ট্যাগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমি তেমন বাধ্যবাধকতা দেখি না।
আইপিঃ- আমি নিজে যেটা মনে করি যে একটা ওয়েব সাইটের জন্য আইপি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের শুধু না বাইরের অনেক দেশেই শেয়ারিং আইপি ব্যবহার করে ওয়েব তৈরী করে আর এটা মূলতঃ থাকে শেয়ারিং হোস্টিং এ। আমি যতদূর জানি গুগল প্রতিদিন ই প্রতিটা ওয়েবের আইপি ধরে পিং করে থাকে। একটা উদাহরণ দিই। ধরুণ ক্লাসে অনেক ছাত্র আছে কিন্তু একটা ছাত্রের রুল নাম্বার নেই তারপর ও সে ঐ ক্লাসে প্রতিদিন ই উপস্থিত থাকে কিন্তু হাজিরা খাতায় তার নাম নেই। বিষয় টা ঠিক এমন ই। এটার জন্য একমাত্র ওয়েব সাইট মালিকের ই দোষ দিব আমি। মাত্র ১২ ডলার খরচ করলে তো একটা আইপি পাওয়া যায়।
ম্যাটা ট্যাগঃ- একটা ওয়েব সাইটের জন্য ম্যাটা ট্যাগ আমার মতে বাধ্যতা মূলক। কারণ হল একটা ওয়েব সাইট একটা মাত্র সাধারণ উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরী করা হয় না। অনেক গুলো উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরী করা হয়। যেমন – একটা মুদি দোকানে শুধুমাত্র চাউল বিক্রয় করা হয় না সাথে ডাউল,মসলা,তেল ইত্যাদি বিক্রয় ও করা হয়। তো
ম্যাটা ডিসক্রিশনঃ- ম্যাটা ট্যাগের মতন এটা ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাটা ট্যাগ দিয়ে যেমন কত প্রকার কাজ করা হয় সেটা বুঝানো হয় তেমন ম্যাটা ডিসক্রিশন দিয়ে। ওয়েব সাইট দিয়ে কি হবে আর কেন হবে এই সব লেখা থাকে। এটা থাকাও বেশী জরুরী।
ব্রোকেন লিংঙ্ক চেকঃ- একটা ওয়েব সাইটে এস,ই,ও করার সময় অব্যশই দেখা নেওয়া উচিত হবে ঐ ওয়েব সাইটে তেমন কোন ভাঙ্গা লিংঙ্ক আছে কিনা। যদি থেকে থাকে তাহলে আপনাকে অব্যশই সেটা ঠিক করতে হবে বা আপনার ওয়েব ডিজাইনার কে দিয়ে সেটা ঠিক করিয়ে নিতে হবে।
সোসাল মিডিয়াঃ- বর্তমান সময় সোসাল মিডিয়া এস,ই,ও আর সোসাল মিডিয়া মাকেটিং এর জন্য একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। বর্তমানে একটা ওয়েব পেজের প্রচারের জন্য তার একটা ফেসবুক পেজ, টুইটার একাউন্ট সহ অন্যান্য পেজ বা একাউন্ট থাকা উচিত। তাহলে সেটা যেমন ভিজিটারদের কাছে ওয়েব কে নিয়ে যেতে সক্ষম হয় তেমনি এটা একটা ওয়েব পেজের প্রচার মাধ্যম হিসাবে বিরাট অবদান থাকে।
আমার দেখা মতে এই বিয়ষ ছাড়া আর অনেক বিষয় আছে। আলোচনা করতে থাকলে অনেক বড় একটা আর্টিকেল হয়ে যায়। যারা এস,ই,ও করেন তাদের কে বলব অব্যশই এই সব বিষয় গুলোর উপরে খেয়াল রাখতে বিশেষ করে অফপেজের কাজ করার জন্য। ক্লাইন্ট কে বলেন যে এই বিয়ষ গুলো আপনার ওয়েব সাইটে নেই আমি নিয়মিত কাজ করলে ও তেমন কোন ফল পাওয়া যাবে না। আর আপনার নিজের যদি ওয়েব সাইট থাকে তাহলে এইগুলো চেক করেন। আর আমাকে দিয়ে যদি এইসব কাজগুলো করাতে চান কোন সমস্যা নেই। আমার সাথে যোগাযোগ করেন। উপরে আলোচনা বিষয়গুলো বিষয় ছাড়া ও অনেক বিষয় আছে যেগুলো চেক করার জন্য আপনি এই লিংঙ্কযেতে পারেন। এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করার পরে যে ওয়েব সাইটের জন্য এস,ই,ও করতে চান তার URL টা দিয়ে চেক করুন কতটা অনপেজ এস,ই,ও আছে। এবং আশা করি আগামি রবিবার থেকে আবার ও ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে ধারাবাহিক লেখা আবার ও শুরু করব। ধন্যবাদ আর্টিকেল টা পড়ার জন্য আশা করি আপনার সোসাল মিডিয়াতে শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিবেন।